হার্ট দুর্বল হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি

হার্ট দুর্বল হলে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে প্রভাব পড়ে। কারণ হার্ট রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। হার্ট দুর্বল হলে নিচের ক্ষতিগুলো হতে পারে। 


শারীরিক লক্ষণ:

• শ্বাসকষ্ট: হাঁটা, সিঁড়ি ভাঙা বা সামান্য পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট হওয়া।

• বুকের ব্যথা: বুকের মাঝখানে চাপ অনুভব করা বা ব্যথা হওয়া।

• অতিরিক্ত ক্লান্তি: স্বাভাবিক কাজকর্মেও অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করা।

• পায়ের ফোলা: বিশেষ করে পায়ের গোড়ালিতে ফোলা দেখা দেওয়া।

• হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি: শরীরে পানি জমার কারণে দ্রুত ওজন বাড়তে পারে।

• ঘুমের সমস্যা: শোবার সময় শ্বাসকষ্ট অনুভব করা বা একাধিকবার জেগে উঠা।

অনুভূতির পরিবর্তন:

• হৃদস্পন্দনের পরিবর্তন: হৃদযন্ত্রের স্পন্দন দ্রুত বা অনিয়মিত হয়ে যাওয়া।

• মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে।

মানসিক লক্ষণ:

• দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ: হৃদযন্ত্র দুর্বল হলে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

• মনোযোগের ঘাটতি: ঠিকমতো মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা।

কী করবেন?

যদি উপরের লক্ষণগুলোর কোনোটি দেখা দেয়, তবে দেরি না করে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
ইসিজি বা ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা করতে হতে পারে।খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে।উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

১. রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা:

হার্ট সঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে না পারলে শরীরের অঙ্গগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, যা অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

ফুসফুস, কিডনি, এবং মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কমে যেতে পারে।

২. ফুসফুসে তরল জমা (পালমোনারি এডেমা):

হার্ট দুর্বল হলে রক্ত সঠিকভাবে পাম্প না হওয়ায় ফুসফুসে তরল জমতে পারে, যার ফলে শ্বাসকষ্ট হয়।

৩. কিডনি বিকল:

রক্ত সঞ্চালনের অভাবে কিডনির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে, যা শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হওয়ার কারণ হতে পারে।

৪. শরীরে পানি জমা (এডেমা):

হার্ট দুর্বল হলে পায়ের গোড়ালি, পা, এবং পেটে ফোলা দেখা দিতে পারে।

৫. অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (এরিথমিয়া):

হার্ট দুর্বল হলে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হতে পারে, যা হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।

৬. হার্ট ফেইলিওর:

দীর্ঘমেয়াদে হার্ট দুর্বল হলে পুরোপুরি হৃদযন্ত্র অকেজো হয়ে যেতে পারে।

৭. স্ট্রোক বা রক্ত জমাট বাঁধা:

রক্ত সঞ্চালনের সমস্যার কারণে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে, যা স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।

৮. মানসিক এবং শারীরিক দুর্বলতা:

• শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং মানসিক অবসাদ দেখা দিতে পারে।

প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:

• স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: কম চর্বি, কম লবণ এবং বেশি শাকসবজি খাওয়া।

• নিয়মিত ব্যায়াম: হার্টকে সুস্থ রাখতে হালকা ব্যায়াম করুন।

• ওষুধ: ডাক্তারের পরামর্শে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ওষুধ গ্রহণ করুন।

তামাক ও অ্যালকোহল বর্জন।

হার্ট দুর্বলতার লক্ষণ দেখলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ক্ষতির ঝুঁকি তত কমবে।