রোজা শুধু ইবাদত নয় স্বাস্থ্যগত অনেক উপকারিতা রয়েছে

রোজা রাখা শরীরের জন্য সাধারণভাবে উপকারী, যদি তা সঠিকভাবে পালন করা হয়। রমজানের রোজা শুধু আত্মিক ইবাদতই নয়, এর বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও রয়েছে। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। আসুন দেখি রোজার কিছু ভালো এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের দিকগুলো।


রোজার উপকারিতা:

ডিটক্সিফিকেশন: দীর্ঘ সময় খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকার ফলে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যকে সতেজ রাখে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: সঠিকভাবে ইফতার ও সেহরি করলে রোজা ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।

হজমশক্তি বৃদ্ধি: নিয়মিত বিরতিতে খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্র বিশ্রাম পায়, যা হজমশক্তি ভালো রাখে।

ইনসুলিন সেনসিটিভিটি: রোজা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

মানসিক প্রশান্তি: রোজা আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ধৈর্য শেখায়, যা মানসিক শান্তি ও স্ট্রেস কমায়।

রোজার চ্যালেঞ্জ:

ডিহাইড্রেশন: গরমের দিনে পর্যাপ্ত পানি না খেলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

মাথাব্যথা ও দুর্বলতা: অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকায় রক্তচাপ কমে গেলে দুর্বলতা বা মাথাব্যথা হতে পারে।

হজমে সমস্যা: ভাজা-পোড়া ও ভারী খাবার বেশি খেলে অ্যাসিডিটি বা বদহজম হতে পারে।

ওজন বেড়ে যাওয়া: ইফতারে অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।

সুস্থভাবে রোজা রাখার কিছু পরামর্শ:

সেহরিতে পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার খান, যেমন: ডাল, ভাত, সবজি, ডিম, দই ইত্যাদি।

ইফতারে খেজুর, পানি, ফলমূল দিয়ে শুরু করুন। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন - ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত অন্তত ৮-১০ গ্লাস।

পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন।

যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য কোনো দীর্ঘমেয়াদি অসুখ আছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখা উচিত।